কোমরের ব্যাথা সম্পর্কে সাধারন মানুষের মধ্যে প্রচলিত ধারনা ও বৈজ্ঞানিক তথ্য

May 23, 2017 0 Comments

সাধারন মানুষের  মধ্যে কোমরের ব্যাথা সম্পর্কে অনেক  ভুল ধারনা প্রচলিত আছে। এই প্রচলিত ধারনাগূলো কোমরের ব্যাথার সঠিক চিকিৎসার সময়ে বাধা সৃষ্টি করে । বাস্তবকে বোঝা এবং মেপে নেওয়াই শুধু কোমরের ব্যাথার সঠিক ব্যাবস্থাপনাকে সাহায্য করে না তার সাথে কষ্টের সময়কে কমায়।

(১) প্রচলিত ধারনা :- যতখন না পর্যন্ত রোগী ব্যাথার থেকে সম্পূর্ন্ ভাবে আরোগ্য লাভ করছে ততখন পর্যন্ত সম্পূর্ন্ বিছানায় বিশ্রাম , নড়াচড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, শক্ত কোন উপরিতলের ওপর শোয়ার কথা বলা হ্য়।

বৈজ্ঞানিক তথ্য : – দীর্ঘ  সময়ের জন্য বিছানায় বিশ্রাম ও নড়াচড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে না ।দীর্ঘ  সময়ের জন্য বিছানায় বিশ্রাম অকেজো হয়ে পরার মতো ক্ষয়ের কারন হতে পারে, এবং এটি প্র্র্র্রকৃত পক্ষ ক্ষতিকারক হতে পারে । রোগীকে অল্প সময়ের (১-২ দিন ) জন্য বিছানায় বিশ্রামের কথা বলা হ​য় এবং সক্রিয় থাকতে উপদেশ দেওয়া হ​য় । এমনকি কিছু নির্দেশিকা অনুযায়ী বিছানায় বিশ্রাম নিষেধ ।

(২) প্রচলিত ধারনা :- লাম্ব্স্যাকরাল  বেল্ট  অথবা  শক্ত  বাঁধন  ব্যাথা  উপশমে  সাহায্য  করে ।

বৈজ্ঞানিক তথ্য : – শক্ত  বাঁধন  ব্যবহার  কোমরের  পেশি এবং  শিড়দাঁরার  পাশের  পেশিগুলোকে  দুর্বল  করতে  সাহায্য করে । শিড়দাঁরার  পাশের  পেশিগুলো  গুরুত্ব্পূর্ন  পেশি  যা  শিড়দাঁরাকে  সাহায্য  করে । এই  পেশিগুলোর  ক্ষয়  হওয়ার  ফলে  তা  উপকারের  থেকে  ক্ষতি বেশি  করে ।

(৩) প্রচলিত ধারনা :- কোমরের ব্যাথার সবচেয়ে সাধারন কারন হল স্পন্ডিলোসিস ।

বৈজ্ঞানিক তথ্য : স্পন্ডিলোসিস হল রোগশয্যা সম্পর্কিত  নয় কিন্তূ এক্স-রে পরিভাষায় শিড়দাঁরার যেকোন অংশের অজন্মদায়ক  পরিবর্তনকে বোঝানো হ্য়। বয়স্কদের মধ্যে  কোমরের ব্যাথার প্রধান কারন হল ফ্যাসেট  জয়েন্ট  আরথোরোপ্যাথি  যেখানে মধ্যবয়স্কদের  কোমরের ব্যাথার কারন হল অভ্যন্তরীন  চাকতির ভাঙ্গন ।

(৪) প্রচলিত ধারনা :- ব্যাথা নাশকারী ওষুধ আসক্তির দেকে নিয়ে যায় ।

বৈজ্ঞানিক তথ্য :  যখন প্রেসক্রিপসন্  অনুযায়ী ব্যাথা নাশকারী ওষুধ গ্রহন করা হয় তখন কখনো-কখনো আসক্তির কারন হয় । যাইহোক অনেক ওষুধরে সাথে মিশে তোমার শরীর ব্যাথার চিকিৎসার ওপর শারিরীক ভাবে নির্ভরশীল হয়ে যেতে পারে। যদিও এটা বোঝায়  না যে তূমি আসক্ত, যদি তুমি হঠাৎ করে ওষুধ গুলো বন্ধ করে দাও তাহলে হয়তো তূমি লক্ষনগুলো অনুভব করতে পারবে। এটা আশা করার মতো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় তখন, যখন  প্রেসক্রিপসন – এর ব্যাথা নাশকারী ওষুধ  কিছু  দিনের বেশি ব্যবহার করা হয়া। তোমার ডাক্তার এই  ওষুধগুলো  বন্ধ করার জন্য সাহায্য করতে পারে ।

(৫) প্রচলিত ধারনা :- অস্ত্রপ্রচারের কথা তখন বলা হয় যখন চাকতিটি ফূলে যায় বা ঝুলে যায বা কোন অস্বাভাবিকতা রোগীর কোমরের এম. আর. আই  – তে থাকে।

বৈজ্ঞানিক তথ্য :- অস্ত্রপ্রচার শুধুমাত্র তখনি  নির্দেশ করা হয় যখন স্নায়ুবিক ঘটিত অথবা অন্য কোন  আশঙ্কাজনক অসুখ  যেমন – টিউমার্, ভাঙ্গন, সংক্রমন (RED flags) হয়ে থাকে॥